শুভেন্দু অধিকারীর ছবি সহ দাদার অনুগামীদের পোষ্টার মন্দির নগরীতে

7th November 2020 4:02 pm বাঁকুড়া
শুভেন্দু অধিকারীর ছবি সহ দাদার অনুগামীদের পোষ্টার মন্দির নগরীতে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  নিজের দলের সঙ্গে অনেক দিন ধরেই 'দূরত্ব' তৈরী হয়েছে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। সেই বিষয়টি এখন জলের মতো পরিস্কার।শুভেন্দু অধিকারী নিজে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট না করলেও রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে এখন তিনিই। আর বর্তমানে নন্দীগ্রাম-পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়িয়ে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে গেছেন 'দাদার অনুগামী'রা। যার রেশ এসে পড়লো বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরেও। খবরে প্রকাশ, আগামী ১০ নভেম্বর নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার সকাল থেকেই দলীয় কোন প্রতিক ছাড়াই শুভেন্দু অধিকারীর ছবি সহ 'দাদার অনুগামী, বিষ্ণুপুরে'র সৌজন্যে '১০ নভেম্বর দাদার ডাকে নন্দীগ্রাম চলো' পোষ্টারে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। কে বা কারা এই পোষ্টার লাগিয়েছে বিষয়টি স্পষ্ট নয় কারো কাছেই। আর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। এবিষয়ে তৃণমূলের বিষ্ণুপুর  টাউন সভাপতি জয়মাল্য ঘর বলেন, এই পোষ্টার লাগানোর পিছনে তাদের কোন হাত নেই। শুভেন্দু অধিকারী কোন পোগ্রাম করতেই পারেন। এই ঘটনার পিছনে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে তিনি আরো বলেন, ওরা সৌরভ গাঙ্গুলী থেকে মিঠুন চক্রবর্ত্তীকে নিয়ে ভাবছে। উত্তম কুমার বেঁচে থাকলে ওঁকে নিয়েও ভাবতো। বিজেপির কোন কাজ নেই তাই এসব করে বেড়াচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।এই পোষ্টার বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছে বিজেপিও। দলের বিষ্ণুপুর নগর মণ্ডল সভাপতি উত্তম সরকার বলেন, 'তৃণমূলের বিভাজন স্পষ্ট ও প্রকাশ্যে চলে এসেছে'। শুধু নন্দীগ্রাম নয়, দাদার অনুগামীরা এখন সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়েছে। উনি এখন সরকারী মঞ্চ ছেড়ে সাধারণ মঞ্চে সভা করছেন। এই পোষ্টার লাগানোর ঘটনায় তাদের কোন যোগ নেই, যা হয়েছে ও হচ্ছে তা সব 'তৃণমূলের গৃহযুদ্ধে'র ফল বলে তিনি দাবি করেন।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।